ইদ-মো.রিদওয়ান আল হাসান

ইদ

- মো.রিদওয়ান আল হাসান

আসলে কেউ কারো মতো হয়না।

প্রত্যেকেই একক।আবার একাও।

মনসুর হাল্লাজের 'আনাল হক্ব' কথাটা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও আমার 'আনাল আ'জিব' কথাটা নিয়া কারো কোনো সংশয় থাকার কথা না।

মা মেয়ের মতো হয়না

ছেলে বাবার মতো হয়না।

সবকিছুই তো আলাদা!চোখ,মুখ,নাক,কান-

আর সবচেয়ে বড় কথা 'মন'

আমার নানু চলে গেলো,

পৃথিবী তার রূপ কিছুটা হলেও পাল্টালো,

রূপ পালটে একেবারে সাদাকালো হয়ে গেলো।

আ'লমের এই ছবিতে এখন হাজার রঙ লাগালেও রঙিন হবেনা।

এভাবেই আলো ছড়াতে থাকা জাজ্বল্যমান নক্ষত্রগুলো হঠাৎ প্রচন্ড জিদে পুড়তে পুড়তে নিভে যায়।অনেকটা অভিমানেই।

কারো ধার ধারে না।কারো ডাক শোনার অপেক্ষা করেনা।

কারো কাছে একটু অক্সিজেনও চায়না আবার জ্বলার জন্যে।

প্রচন্ড স্বার্থপর এরা।

সূচকের খাতিরে এরা অবশ্যি "ভালো মানুষ"

তবে এরাই মানুষকে কষ্ট দেয় বেশি।

অর্থাৎ,যে যত "ভালো মানুষ" সে তত বেশি শূন্যতা উপহার দেয়।তত বেশি কষ্ট দেয় জীবিতদের।

এরা এমন গারীব নিয়ামতুল্লাহ যে-

পৃথিবী ও এর প্রাণিগুলারে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলে যাওয়ার সময় কয়েকজনের ইদ সাথে করে নিয়া যায়।

স্বপ্ন নিয়া যায়,আশা নিয়া যায়।

স্মৃতিগুলা আমলনামার মতো এমনভাবে হাতে ধরায়া দিয়া যায় যে-

ইনসানের মাটির তলার জমিন কানতে থাকে।

এভাবে আমাদের ইদগুলা ধীরে ধীরে চলে যেতে থাকে।

আমি তাই কারো ইদ হতে চাইনা।

কাউকে কষ্ট দেয়ার কোনো ইচ্ছা আমার নাই।


Previous Post Next Post