ফিরে দেখা
সাদিয়া জামান শৈলী
দিগন্তে ফুটে উঠেছে লাল আভা।
সন্ধ্যার আভাস!
হাত ঘড়িতে দেখলাম,
পাঁচটা বেজে পনেরো মিনিট।
খানিকক্ষণ বাদেই -
বেজে উঠবে আযানের ধ্বনি।
চারদিক কেমন নিমিষেই
কোলাহল থেকে নিস্তব্ধতায় রূপ নিল।
পাখিরা নীড়ে ফিরছে দল বেঁধে।
সবার বুঝি আমার মতোই
তাড়া বাড়ি ফেরার!
হঠাৎ নয়-দশ বছর বয়সী তিনটি -
ছেলেমেয়ে দৌঁড়ে পালালো।
অস্পষ্ট শুনতে পেলাম
বাচ্চা তিনটি বলাবলি করছে
তাড়াতাড়ি বাড়ি চল;
মা বলেছে আযানের আগে বাড়ি ফিরতে।
ব্যাস -
নাড়া দিয়ে উঠলো অতীতের স্মৃতিগুলো!
মাও বলতো-
আযানের আগে বাড়ি ফিরে আসার কথা।
শৈশবের স্মৃতি বড়োই মধুর।
অবশ্য তা প্রযোজ্য নয় সবার ক্ষেত্রে।
আর আমার শৈশব?
কী জানি!ব্যাখ্যা নেই আমার কাছে।
সবকিছুর ব্যাখ্যাও করতে নেই।
কিছু কিছু না হয় অব্যক্ত থাকুক।
কে বললো বয়স বাড়ছে?
বয়স তো কমছে দিন দিন।
এক এক দিন করে শেষ হয়ে যাচ্ছে সময়।
আর দেখা হবে না ফিরে
অতীতের স্মৃতিগুলো!
দেখা হবে না ফিরে আগের আমিকে।
যদি হতাম গল্প-
তবে নিতাম সাজিয়ে আমার আমিকে।
শুধরে নিতাম জানা;
না জানায় করা ভুলগুলো!
অবশ্য ভুলগুলোও দরকার ছিল।
তাই বাস্তবতার ভীড়ে
আমার আমি বিদ্যমান আজও।
জানা নেই ডায়েরির প্রথম পাতায় কী ছিল!
তবে শেষ পাতাটা-
আমি নিজেই লিখবো শেষ হাসি হেসে।