ক্লান্তি যেন বেশ জোরালো ভাবেই
জেঁকে বসেছে আজ।
বাহিরে পূর্ণিমা রজনী!
বারান্দা জুড়ে স্নিগ্ধতার বিরাজমান চন্দ্রমার কিরণে।
সমান্তরাল গ্রিলের শূন্যস্থান থেকে
ক্লান্তি ভরা চোখে চেয়ে দেখি আকাশের পানে।
আচমকাই যেন ভাবনায় ডুবে যাচ্ছি বারে বারে।
অতঃপর দিবসের কোলাহল শেষে,
মিশে যাই একাকিত্বে কিছুক্ষণে।
বেশ খানিকটা জায়গা জুড়ে
কবরস্থান নীড়ের পশ্চিমে।
চেয়ে দেখি হঠাৎ মাঝ বয়সী একজন পুরুষ।
দেয়াল ঘড়ির টিক টিক শব্দ জানান দিচ্ছে
এখন রাত 'এগারোটা বেজে ঊনষাট মিনিট।'
চেয়ে দেখি-সে ধীর পায়ে যাচ্ছে এগিয়ে
সদ্য খোঁড়া কবরের নিকটে।
দু-চোখে কৌতুহল যেন উপচে পড়ছে আপনার।
হঠাৎ থমকে দাঁড়ালো সে।
আকাশের পানে দু'হাত তুলে দোয়ায় মশগুল হলো সে।
আপনজন বুঝি!
আপনজন!
বুকের ভিতরটা নিমিষেই শূণ্য হলো যেন।
তারায় ঝলমলিয়ে আছে ঐ দূরের আকাশ।
হৃদয় আকাশে ঘন কালো মেঘ জমেছে অথচ।
চক্ষু ভেদ করে বৃষ্টি নামবে বুঝি এখনই।
মৃদু বইছে বাতাস।
পাশে অনাদৃত অবস্থায় পড়ে আছে
চা'য়ের কাপখানি।
এক চুমুক পড়েছে মাত্র।
ভাবছি-
কতোই না পেয়েছি অবহেলা প্রিয়জনদের দ্বারে।
তব মন মত্ত থাকে তাদের দ্বারেই বারে বার।
অবহেলা পেয়েও যে- রাখতে জানি যত্নে।
তারা যে আমারই আপনজন।
বলছি-অবহেলায় অবহেলা নয়,
যত্ন দিতে ভালোবাসি যে খুবই।